Wednesday, March 29, 2017

Counselling: Hepatitis B



১) আস্সালামুআলাইকুম, আমি ডাঃ ইফতেখার, আপনার রোগ নিয়ে আপনার সাথে কথা বলব।

২) আপনার শরীরে যে সমস্যাটি ধরা পড়েছে, তা হল Hepatitis B, যা লিভারের ক্ষতি করতে পারে এমন একটি ভাইরাস।

৩) আপনার HBsAg পরীক্ষাটি যদি ELISA মেথডে না করা হয়ে থাকে, তাহলে আমরা প্রথমে ELISA মেথডে পরীক্ষাটি করে নিশ্চিত হব, যে আপনার শরীরে সত্যিই জীবানুটি আছে কিনা।

৪) (Take history or describe) এ রোগটি যে সকল মাধ্যমে ছড়ায়, তা হল:
- অনিরাপদ রক্ত দান/গ্রহন
- মা থেকে গর্ভের বাচ্চার
- একাধিক মানুষ একই ইঞ্জেকশনের সুচ ব্যবহার করলে
- অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক

৫) এ জীবানুটি শরীরে প্রবেশ করলেই যে লিভারের অসুখ হবে এমনটি নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ জীবানু শরীরে ঢুকে সুপ্ত অবস্থায় থাকে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি সক্রিয় হয়ে জন্ডিস করতে পারে, আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি লিভারে সিরোসিস নামক বড় অসুখও করতে পারে।

৬) আপনার শরীরে বর্তমানে জীবানুটি কোন অবস্থায় আছে তা নির্ণয় করতে আমরা কিছু পরীক্ষা করব, যেমন, HBeAg, ALT, HVB-DNA, USG of W/A.

৭) যদি জীবানুটি ইতোমধ্যে লিভারের ক্ষতিসাধন করে ফেলে থাকে, তাহলে তা আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়, তবে আরো যেন ক্ষতি না করতে পারে তার জন্য চিকিৎসা নিতে হবে। আর পরীক্ষায় যদি ভাইরাসটি সক্রিয় অবস্থায় পাওয়া যায় তাহলেও ঔষধ সেবন করতে হবে। আর পরীক্ষায় যদি ভাইরাসটি সুপ্ত অবস্থায় পাওয়া যায়, তাহলে আপনাকে ৬ মাস পর আবার পরীক্ষা গুলো করিয়ে ফলোআপে আসতে হবে, ভাইরাসটি সক্রিয় হয়েছে কিনা তা দেখার জন্য।

৮) চিকিৎসার ২টি দিক রয়েছে, ১ আপনাকে জীবন যাত্রার কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে, ২ ঔষধ।

৯) নিয়মকানুন গুলো হল:
- চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া কমাতে হবে, ধূমপান-মদপান পরিহার করতে হবে।
- কবিরাজি ঔষধ খেতে পারবেন না।
- বাইরের খোলা খাবার খেতে পারবেন না।
- কাউকে রক্ত বা অঙ্গ দান করতে পারবেন না।

১০) ঔষধ আমরা ২ ধরনের দিয়ে থাকি, মুখে খাওয়ার এবং ইঞ্জেকশন:
- মুখে খাওয়ার ঔষধগুলো হল Entecavir অথবা Tenofovir, এ জাতীয় ঔষধ দৈনিক একবার খেতে হয়, সাধারণত সারাজীবন খেতে হয়, বাদ দিলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- ইঞ্জেকশন জাতীয় ঔষধ হচ্ছে Peginterferon alfa-2a, এটি সপ্তাহে ১ বার নিতে হয় এবং সাধারনত ১ বছর নিলেই চলে, এর দাম বেশি। লিভারের ক্ষতি (others: depression, psychosis, pregnancy) বিদ্যমান থাকলে এটি দেওয়া যায় না।

১১) ঔষধের জন্য বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে, যেমন, Entecavir এর জন্য শরীরে এসিড বেড়ে যাওয়া (Lactic acidosis), Tenofovir এর জন্য কিডনির মার্কার বেড়ে যাওয়া, ফসফেট কমে যাওয়া ইত্যাদি, তবে এ সকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ক্ষণস্থায়ী। আবার ঔষধ খাওয়া অবস্থায়ও রোগটি জটিলতর হতে পারে।

১২) তাই আপনাকে ৩ মাস পর পর ফলোআপে আসতে হবে। ঔষধের পার্শপ্রতিক্রিয়া ও লিভারে কোন ক্ষতি হচ্ছে কিনা, তা দেখার জন্য সিবিসি, লিভারের মার্কারসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা লাগতে পারে।

১৩) আশা করি আমার কথা বুঝতে পেরেছেন।

১৪) আপনার আর কিছু জানার থাকলে জিজ্ঞেস করতে পারেন।

১৫) ধন্যবাদ।

================================== RheumaLife =================================
=================================== iCarePG ===================================

No comments:

Post a Comment